শিশুদের কত বছর বয়স থেকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল দিতে হয়

শিশুদের কত বছর বয়স থেকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল দিতে হয় - আজ ১৫ ই মার্চ শনিবার ২০২৫ সারা দেশে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী সকল শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। 



শিশুদের কত বছর বয়স থেকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল দিতে হয়



শিশুদের কত বছর বয়স থেকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল দিতে হয়

শিশুদের ৬ মাস থেকে পাঁচ বছর বা ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়স পর্যন্ত ভিটামিন এ ক্যাপসুল দিতে হয়। আজ ১৫ ই মার্চ শনিবার সারাদেশে ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন সকাল আটটা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত চলবে। এ সময় ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। 


১৩ ই মার্চ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, সারাদেশে ১৫ ই মার্চ শনিবার থেকে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।


বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, দেশের সকল শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আজ ১৫ই মার্চ ভিটামিন এ ক্যাম্পেইনে প্রায় দুই কোটি ২৬ লাখ শিশুকে ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। 


স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে অভিভাবকের আহ্বান করা হয়েছে যে, যাদের ঘরে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশু রয়েছে, সে সকল অভিভাবক ও বাবা-মা তাদের নিকটস্থ ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের যেয়ে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে বলা হয়েছে। 



শিশুদের বছরে কতবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল দিতে হয়

শিশুদের বছরে দুইবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল দিতে হয় অর্থাৎ খাওয়াতে হয়।শিশুরাই হলো দেশের ভবিষ্যৎ তাই তাদের অপুষ্টি ও অন্ধত্ব থেকে সুরক্ষার জন্য সরকার বছরে দুইবার ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে বহুলাংশ শিশুদের অন্ধত্বের অভিশাপ এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শিশু মৃত্যুহার কমানো যায় সে চেষ্টায় সরকার বদ্ধপরিকর। 


বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্বে সে লক্ষ্যে আজ সারাদেশে ৬ মাস বয়স থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের অপুষ্টি দূরীকরণ ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর।



শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ানো হয় কেন

ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। তাই রাতকানা রোগ প্রতিরোধে শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। ভিটামিন এ ক্যাপসুল শুধু অন্ধত্বই প্রতিরোধ করে না বরং পাশাপাশি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শিশু মৃত্যুর হার প্রায় এক চতুর্থাংশ কমিয়ে আনে। 


সকল শিশু মায়ের বুকের দুধ এবং ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খেতে পায় না। ফলে শিশুদের ভিটামিন এ এর ঘাটতি থেকে যায়। যার ফলে শিশুরা বিভিন্নভাবে অপুষ্টিতে ভোগে এবং শিশু মৃত্যুহার বেড়ে যায়। আর ভিটামিন এ এর অভাবে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো অন্ধত্ব।


রাতকানা রোগ প্রতিরোধে ১৯৭৪ সালে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। বর্তমানে ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। বছরের দুবার ৯৮ শতাংশ জাতীয় ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। 


১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে দেশে অপুষ্টি জনিত কারণে শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগের হার বেড়ে যায়। তৎকালীন সময় রাতকানা রোগের হার ছিল ৪.১০ শতাংশ। 


শিশুদের রাতকানার ও প্রতিরোধের ১৯৭৪ সাল থেকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হওয়ায় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য সেবাকে নিরবাস ভাবে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ফলে দেশে বর্তমানে শিশুদের রাতকানা রোগ এবং অপুষ্টি ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। 



পরিশেষে, আহ্বান হল শিশুদের রাতকানা রোগ এবং অপুষ্টি ও শিশু মৃত্যুহার কমাতে যাদের ঘরে ৬ মাস থেকে পাঁচ বছর বয়স শিশু রয়েছে, তাদের অভিভাবক ও বাবা-মা আপনাদের নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলো যেমন- ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অনন্য স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আপনার শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবেন। 

Post a Comment

0 Comments