প্রাণ কোম্পানি কোন দেশের , প্রাণ কোম্পানি কি ইসরায়েলের? প্রাণ ও আরএফএল কি একই কোম্পানি? এ ধরনের প্রশ্ন অনেকের মনেই আসে এবং তারা এর সকল প্রশ্নের উত্তর গুগল সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে থাকেন। প্রাণ-আরএফএল কোম্পানি রংপুরে ১৯৮১ সালে আমজাদ খান চৌধুরী প্রতিষ্ঠা করেন।
তাই আজকে আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে ১৯৮১ সালে রংপুরে আমজাদ খান চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত প্রাণ কোম্পানি কোন দেশের , প্রাণ ও আরএফএল কি একই কোম্পানি?, প্রাণ প্রতিষ্ঠা কত সালে হয়েছিল?, প্রাণ কোম্পানি কি ইসরায়েলের?, আরএফএল এর পণ্য, প্রাণ কোম্পানির প্রতিষ্ঠান এবং প্রাণ কোম্পানির হেড অফিস কোথায় এ সকল বিষয়ে তথ্য নিয়ে।
প্রাণ কোম্পানি কোন দেশের
প্রাণ কোম্পানি বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রাণ-আরএফএল কোম্পানি রংপুরে ১৯৮১ সালে আমজাদ খান চৌধুরী প্রতিষ্ঠা করেন। প্রাণ কোম্পানি বাংলাদেশের স্বনামধন্য সর্ববৃহৎ খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি।
প্রাণ কোম্পানি টিউবওয়েল ও আবাসন ব্যবসা দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তীতে শিশু খাদ্য সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী, পোশাক, প্লাস্টিক পণ্য, ইলেকট্রনিক্স, আসবাব, সাইকেল, যন্ত্রাংশ এবং মেডিকেল সামগ্রী সুনামের সাথে প্রস্তুত করে যাচ্ছে।
রংপুরে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এখন ১৪৫টিরও বেশি দেশে কাজ করছে। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সদর দপ্তর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা অবস্থিত। প্রাণ কোম্পানি বা প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ বিশ্বব্যাপী ১০,০০০ জনেরও বেশি লোক নিয়োগ করে থাকে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ প্রাণ ফুডস, আরএফএল প্লাস্টিক, প্রাণ-আরএফএল হেলথকেয়ার সহ বিভিন্ন সহায়ক সংস্থার অধীনে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ প্রাণ ফুডস গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি এবং আরএফএল সাবসিডিয়ারি কোম্পানি।
আন্তর্জাতিক কোম্পানি পেপসিকো , ড্যানোন এবং নেসলে- এর মতো কোম্পানিগুলির সাথে বেশ কয়েকটি যৌথ উদ্যোগ রয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের।
বাংলাদেশের প্রাণ কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের শিশুদের খাবার সহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী ও পানীয় তৈরি করে থাকে। এর সকল উৎপাদিত পণ্য বাংলাদেশের কোনায় কোনায় পৌঁছে দিয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।
শুধু দেশের মধ্যেই প্রাণ কোম্পানি সীমাবদ্ধ থাকেনি। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে নিজস্ব উৎপাদিত পণ্য দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য সহ বিভিন্ন দেশে বাজারজাত করে থাকে।
প্রাণ ফুডস (PRAN Foods), প্রাণ-আরএফএল (PRAN-RFL) গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। প্রাণ ব্যানারের অধীনে বেশ কয়েকটি কৃষি পণ্য উৎপাদন করে থাকে। ২০০৩ সালে প্রাণ কোম্পানি সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি সহায়ক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে।
প্রাণ কোম্পানির ২০০৭ সালে ভারত সরকার বাংলাদেশ থেকে সরাসরি বিনিয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর ২০০৮ সালে কোম্পানিটি ভারতের ত্রিপুরায় একটি উৎপাদন সুবিধা খোলার পরিকল্পনা ঘোষণা করে ।
ভারত, সৌদি আরব , সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া এবং ওমানে কোম্পানির বাজার রয়েছে।২০০৮ সালে প্রাণ কোম্পানির আয় 500 মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে প্রাণ কোম্পানি আলু রপ্তানি শুরু করে।
প্রাণ ও আরএফএল কি একই কোম্পানি?
প্রাণ ও আরএফএল একই কোম্পানি।প্রাণ ফুডস (PRAN Foods), প্রাণ-আরএফএল (PRAN-RFL) গ্রুপের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।১৯৮১ সালে আমজাদ খান চৌধুরী মেজর জেনারেল পদে থেকে অবসর নিয়ে পেনশনের টাকা দিয়ে ফাউন্ড্রি বা টিউবওয়েল তৈরি ও আবাসন ব্যবসা শুরু করেন।
পরবর্তীতে তিনি আবাসন ব্যবসা বাদ দিয়ে ফাউন্ড্রির ব্যবসায় নজর দেন। রংপুরে প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ড্রির নাম দেন রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (আরএফএল)।
আমজাদ খান চৌধুরী ১৯৮৫ সালে কৃষিজাত পণ্য উদপাদনের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিডেট, যার ব্রান্ড নাম হলো প্রাণ।প্রাণ ১৯৯৭ সালে ফ্রান্সে কৌটায় আনারস রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানি শুরু করে।
প্রাণ কোম্পানি কি ইসরায়েলের?
প্রাণ কোম্পানি কোন দেশের এটা নিয়ে যেমন অনেকের প্রশ্ন আছে তেমনি প্রাণ কোম্পানি কি ইসরাইলের সে সেটা নিয়েও অনেকের প্রশ্ন আছে। তাই প্রাণ কোম্পানি কোন দেশের এবং এটি ইসরাইলি কোম্পানি কিনা সে বিষয়ে তথ্য প্রদান করা হলো।
প্রাণ কোম্পানি ইসরায়েলের কোম্পানি নয়। প্রাণ কোম্পানি একটি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ খাদ্য সামগ্রী ও পানীয় প্রতিষ্ঠানের একটি।প্রাণ কোম্পানি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আমজাদ আলী খান ১৯৮৫ সালে কৃষিজাত পণ্য উদপাদনের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিডেট, প্রাণ।
প্রাণ কোম্পানির প্রতিষ্ঠানসমূহ
প্রাণ-আরএফএল কোম্পানি ১৯৮১ সালে আমজাদ খান চৌধুরীর হাত ধরে ক্ষুদ্র পরিসরে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে ২৫টিরও বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রাণ কোম্পানি দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে।
প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির পাবলিক লিমিটেড দুটি কোম্পানি রয়েছে । এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড ও রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড (আরএফএল)। এ ছাড়া প্রাণ কোম্পানির অনলাইন ভিত্তিক পণ্যসমূহ বিক্রির ওয়েবসাইট রয়েছে।
প্রাণ কোম্পানির অনলাইন ভিত্তিক পণ্যসমূহ বিক্রির ওয়েবসাইট— www.othoba.com (অথবা.কম)।
প্রাণ-আরএফএল কোম্পানির প্রতিষ্ঠান সমূহের তালিকা—
✅প্রাণ ফুডস লিমিটেড
✅প্রাণ বেভারেজ লিমিটেড
✅হবিগঞ্জ এগ্রো লিমিটেড
✅প্রাণ এগ্রো লিমিটেড
✅নাটোর এগ্রো লিমিটেড
✅প্রাণ এগ্রো বিজনেস লিমিটেড
✅প্রাণ ডেইরি লিমিটেড
✅ময়মনসিংহ এগ্রো লিমিটেড
✅বঙ্গ বেকার্স লিমিটেড (অলটাইম ও বিস্ক ক্লাব ব্র্যান্ড)
✅প্রাণ কনফেকশনারি লিমিটেড
✅সান বেসিক কেমিক্যালস লিমিটেড
✅চরকা টেক্সটাইল লিমিটেড
✅প্রাণ এক্সপোর্টার্স লিমিটেড
✅আরএফএল প্লাস্টিকস লিমিটেড
প্রান-আরএফএল গ্রুপের সর্বাধিক পন্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরন করা হয় নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় অবস্থিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে।
প্রাণ কোম্পানির হেড অফিস কোথায়
প্রাণ কোম্পানির সাথে ডিলারশিপ, প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি কিংবা ব্যবসায়িক ও অনন্য প্রয়োজনে প্রাণ কোম্পানির হেড অফিস এর এড্রেস বা ঠিকানা প্রয়োজন হয়। তাই আজকে আর্টিকেলের বিষয় প্রাণ কোম্পানি কোন দেশের হলেও প্রাণ কোম্পানির হেড অফিসের ঠিকানা সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রাণ বাংলাদেশের কোম্পানি এবং এর সদর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত
প্রাণ কোম্পানির হেড অফিসের ঠিকানা—
ওয়েবসাইট : pranfoods.net
www.rflbd.com
www.othoba.com
0 Comments