পোলার আইসক্রিম বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়া দুইটি যৌথ দেশ মিলে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
১. বাংলাদেশ: পোলার আইসক্রিম, যা ঢাকা আইসক্রীম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে পরিচিত, বাংলাদেশে ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান আইসক্রিম প্রস্তুতকারী কোম্পানি।
২. মালয়েশিয়া: পোলার আইসক্রিম এসডিএন বিএইচডি নামে একটি কোম্পানি মালয়েশিয়ায় 1988 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি মালয়েশিয়ার বৃহত্তম আইসক্রিম সরবরাহকারী কোম্পানিগুলির মধ্যে একটি।
তাহলে, পোলার আইসক্রিম দুটি দেশের কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা হয়: বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়া।
পোলার আইসক্রিম কোন দেশের কোম্পানি
আশির দশকে, বাংলাদেশে আইসক্রীমের জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছিল, তবে ভালো মানের আইসক্রীম তখনও সহজলভ্য ছিল না। এই পরিস্থিতিতে, ১৯৮৭ সালে জনাব আমানউল্লাহ মিঞা একটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য মানসম্পন্ন এবং সুস্বাদু আইসক্রীম প্রদান করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকা আইসক্রীম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
জনাব আমানউল্লাহ মিঞা সিদ্ধান্ত নেন যে, তার নিজের আইসক্রীম কারখানায় আন্তর্জাতিক মানের আইসক্রীম তৈরি করবেন। অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে তিনি ডেনমার্ক থেকে বিশেষজ্ঞদের এনে ঢাকা শহরে তার স্বপ্নের আইসক্রীম কারখানা স্থাপন করেন। এই কারখানা থেকেই জন্ম নেয় পোলার আইসক্রীম, যা ধীরে ধীরে বাংলাদেশের মানুষের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
২০০৯ সালে পোলার আইসক্রীম-এর সাথে নতুন ব্যবসায়িক অংশীদার হিসেবে যুক্ত হন সফল উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়ী প্রকৌশলী জনাব নাজিম উদ্দীন আহমেদ। আধুনিক ব্যবস্থাপনা তত্ত্ব প্রয়োগ এবং বিশ্বমানের খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি পোলার আইসক্রীম-এর উৎপাদন ব্যবস্থা আরও উন্নত এবং দক্ষ করে তোলেন। এর ফলস্বরূপ, দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্য বিভাগে বাংলাদেশের প্রথম কোম্পানি হিসেবে পোলার ISO 22000:2005 স্বীকৃতি অর্জন করে।
যাত্রার শুরুতেই পোলারের চকোবার, পেঙ্গুইন, লিটার বক্স, কেক বক্স ইত্যাদি পণ্য বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় পোলার পরবর্তীতে ISO 22000:2018 স্বীকৃতি লাভ করে। পোলার প্রথমবারের মতো মালাই, ক্ষীর, দই ইত্যাদি ঐতিহ্যবাহী ফ্লেভারের আইসক্রীম বাজারজাত করে ভোক্তাদের মন জয় করে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় পোলার আরও উন্নত মানের রোবাস্তো, সেরা স্বাদের বিস্কিট কোন এবং সবচেয়ে আধুনিক ধারার লাক্সারি (প্রিমিয়াম) সেগমেন্টের রাফিনাতো আইসক্রীম ব্র্যান্ড বাজারে নিয়ে আসে।
সময়ের সাথে সাথে মন ভালো করার আয়োজন নিয়ে পোলার ২০১৬ সালে তার নতুন লোগো উন্মোচন করে। এর পাশাপাশি সব আইসক্রীমের প্রস্তুতপ্রণালি এবং রেসিপিতে নিয়ে আসে উন্নত স্বাদ ও আধুনিকতার ছোঁয়া। ইউরোপিয়ান মান এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিটি পণ্যে নিশ্চিত করা হয় আইসক্রীমের আনন্দময় অভিজ্ঞতা। ভোক্তাদের চাহিদায় প্রতি বছর পছন্দের আইসক্রীম হয়ে থাকার গৌরব পোলারের জন্য সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণায় রূপান্তরিত হয়।
এই আত্মবিশ্বাসে ২০২২ সালে কোম্পানি উন্নততর প্রযুক্তিনির্ভর নতুন কারখানা স্থাপন করে। সাভারে অবস্থিত এই কারখানাটি অধিকতর উৎপাদনক্ষমতা ও বৈচিত্র্যময় আইসক্রীম ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। নতুন যুগের এই পোলার আইসক্রীমের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৭ সালে আধুনিক ধারণার কাপ, কোন, চকোবার, লিটার বক্স ইত্যাদি উৎপাদনের মাধ্যমে। চলমান এই যাত্রায় উন্নত মানের আইসক্রীম তৈরি করে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের এবং প্রতিটি পরিবারের মন ভালো করে দেওয়ার মূলমন্ত্র নিয়ে পোলার আইসক্রীম এগিয়ে চলছে নিজের ব্যবসায়িক মূলমন্ত্র 'মন ভালো থাক' নিয়ে।
In 2016, Polar redefined its identity with a new logo, bringing enhanced flavors and modern touches to all ice cream production processes and recipes. With European standards and technology ensuring every product delivers pure enjoyment, Polar takes pride in being a leading inspiration in customer preferences year after year.
Upholding this confidence, in 2022 the company established an advanced, technology-dependent new factory in Savar, aiming to further enhance production capacity and deliver even more diverse and high-quality ice creams to consumers. Polar began its journey in 1987 with modern concepts through products like cups, cones, chocolate bars, and liter boxes. Continuing this journey, Polar Ice Cream strives to uplift every Bangladeshi’s spirits and bring joy to every family with high-quality ice creams, driven by their business motto of "Keeping Hearts Happy".
0 Comments