ড ইউনুস কোন বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন

নোবেল বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশি ড ইউনুস কোন বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সে বিষয়ে জানব।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং নোবেল বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশী নাগরিক, অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকার ড ইউনুস। তিনি ১৯৪০ সালের ২৮শে জুন একটি বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে ক্ষুদ্রঋণ প্রধানের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি এবং জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করেন ড ইউনুস। 

আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে ড ইউনুস কোন বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সে বিষয়ে।



ড ইউনুস কোন বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন



ড ইউনুস কোন বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন

ড ইউনুস ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তিনিই প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।ড ইউনুস নিজ প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক এর ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নত করার কাজ করার জন্য তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।

 

ড ইউনুস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক ছিলেন। তিনি ক্ষুদ্রঋণ ধারনার প্রবর্তক এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি একাধারে অর্থনীতিবিদ, প্রফেসর এবং ব্যাংকার। তিনি ক্ষুদ্রঋণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জনক হিসেবে পরিচিত।



ড ইউনুস কোন বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন



এশিয়া মহাদেশে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। একই সাথে গ্রামীণ ব্যাংক পেয়েছিল নোবেল পুরস্কার।ড ইউনুস ও তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক নোবেল পুরস্কার অর্জন করায় সে সময় বিরোধী দলে থাকা। আওয়ামীলীগ সবার আগেই শুভেচ্ছা জানিয়েছিল।


ইউনূসের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নানা অভিযোগ করতে শুরু করে দলটি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমেই নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্ত  ড ইউনূসকে  গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়।


ড ইউনূসকে ২০১১ সালের ২ রা মার্চ গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে  অব্যাহতি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আদেশ জারি করলে এর বিরুদ্ধে ড: ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংকের নয়জন পরিচালক দু’টি রিট মামলা করেছিলেও দু’টি রিট আবেদনই খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। 


গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ড ইউনূসকে অব্যাহতি দেওয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আদেশ বহাল রাখে।পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১২ই মে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে ইস্তফা দেন অধ্যাপক ইউনূস।


তৎকালীন সরকার নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্ত ড ইউনূসের বিরুদ্ধে আরো একটি  অভিযোগ ছিলো পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাধা দেয় ড ইউনূস।


তৎকালীন সরকার পদ্মাসেতু প্রকল্প প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিলে সে সময় বাংলাদেশকে অর্থায়নে রাজিও হয় বিশ্ব ব্যাংক। কিন্তু মাঝপথে সেই অর্থায়ন আটকে যায় দুর্নীতির অভিযোগে। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে  অভিযোগ তোলেন পদ্মাসেতুর অর্থায়ন ড ইউনূস প্রভাবিত করার কারণেই আটকে গিয়েছিলো।


তবে ড ইউনূস মার্চে বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, "আমার বাধা দেয়ার তো কোনও কারণ নাই। বিশ্ব ব্যাংক তো আমার প্রভাবিত করার জন্য অপেক্ষা করে নাই। তারা তো বলছে দুর্নীতি হয়েছে"।



ড ইউনুস কোন বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন



একই সময়ে ড ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা করা হয়।৫ই আগস্ট  আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কয়েকটি মামলায় খালাস দেয়া হয়েছে নোবেল বিজয়ী ড ইউনূসকে।



ডক্টর ইউনুস কত সালে নোবেল বিজয়ী হন?

ডক্টর ইউনুস ২০০৬ সালে নিজের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের সাথে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হন। দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে কাজ করার জন্য তিনি এই পুরস্কার লাভ করেছেন। 



ড ইউনুস কোন বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন



নোবেল বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশি কে ছিলেন?

নোবেল বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশী হলেন ড ইউনুস। এশিয়া মহাদেশে চারজন বাঙালি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তার মধ্যে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রথম বাংলাদেশী হলেন ড ইউনুস। তিনি ও তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। 



ড ইউনুস কত সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন?

১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ড ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।গ্রামীন ব্যাংক বাংলাদেশের একটি বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ ব্যাংক ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। 



ড ইউনুস কোন বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন



ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংক দরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করে। গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের নীতি হলো, 'দরিদ্র মানুষকে ক্ষুদ্র অংকের দিন প্রদান করা হবে, যা তারা তাদের ব্যবসা বা অন্য কোন উদ্যোগে বিনিয়োগ করতে পারবে'।


গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে গ্রামীণ ব্যাংকের এই নীতি। যার ফলে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মানুষ গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ পেয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের এই ক্ষুদ্র ঋণ লাভের মধ্য দিয়ে দরিদ্র মানুষ ব্যবসা বা অন্য কোন উদ্যোগ শুরু করতে পেরেছে এবং তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে পেরেছে। 


২০০৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভের পর তার কাজ অব্যাহত রাখে। গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারণ করা হয় এবং বিশ্বব্যাপী গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্র ঋণের প্রসার ও উন্নয়নের জন্য কাজ করে। 


২০১১ সালে ড ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন।গ্রামীণ ব্যাংকের একজন উপদেষ্টা হিসেবে ড ইউনুস বর্তমানে কাজ করছেন।

Post a Comment

0 Comments