আজকে আর্টিকেলটি অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির মালিক কে ছিল, অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির বর্তমানে মালিক কে , অলিম্পিক কোম্পানি কোন দেশের, অলিম্পিক কোম্পানির বিস্কুট, আজিজ মোহাম্মদ ভাই এর পরিচয়,অলিম্পিক লেক্সাস বিস্কুট দাম, নাটি বিস্কুট দাম এ সকল বিষয়ে তথ্য নিয়ে সাজানো হয়েছে।
অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির মালিক
অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির বর্তমান মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাই। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিস্কুট প্রস্তুতকারক কোম্পানি অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বর্তমান চেয়ারম্যান আজিজ মোহাম্মদ ভাই। অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির মালিক।
১৯৭৯ সালে মোহাম্মদ ভাই, আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাবা বেঙ্গল কার্বাইড লিমিটেড নামে একটি ব্যাটারি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামকরণ করা হয়।
আজিজ মোহাম্মদ ভাই এবং তার বোন নুরজাহান হুদা দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, আজিজ মোহাম্মদ ভাই বিদেশে থাকায় অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ১৪টি বোর্ড সভার কোনোটিতে সশরীরে অংশ নেননি।
২০১৮ সালে অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির মালিক / চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ভাই ইন্তেকাল করেন। ২০২৩ সালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবারক আলী ইন্তেকাল করেন। তাদের মৃত্যুতে দুটি পদ শূন্য হয়।
২০২৩ সালের জুন মাসে কোম্পানিটি আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের ছেলে আসার আজিজ এম ভাইকে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজে শেয়ারের অধিকারী আম্বি লিমিটেড কর্তৃক মনোনীত পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়।
আজিজ মোহাম্মদ ভাই এর জীবনী
অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির বর্তমান মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাই ১৯৬২ সালে ঢাকার আরমানিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন । পিতা মরহুম মোহাম্মদ ভাই অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির মালিক এবং মাতা খাদিজা মোহাম্মদ ভাই।
অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির বর্তমান মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাই এর পরিবার ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় গুজরাট থেকে পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসে। ১৯৫৯ সালে মোহাম্মদ ভাই পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম স্টিল মিল প্রতিষ্ঠা করেন ।
মোহাম্মদ ভাই ১৯৭৯ সালে ভাই মোবারক আলীকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন। ১৯৯৬ সালে কোম্পানিটি বিস্কুট তৈরির ব্যবসা শুরু করে। মোহাম্মদ ভাই তার সন্তানদের অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর ব্যবসায় নিয়ে আসেন।আজিজের এক ভাই ছিল, রাজা মোহাম্মদ ভাই।
পদবী
১৯৪৭ এ দেশভাগের পর মোহাম্মদ ভাই এর পরিবার ভারতের গুজরাত থেকে বাংলাদেশে আসে। মোহাম্মদ ভাই মূলত পারস্য বংশোদ্ভুত। তারা ‘বাহাইয়ান’ সম্প্রদায়ের লোক। ‘বাহাইয়ান’ কে সংক্ষেপে ‘বাহাই’ বলা হয়। উপমহাদেশের উচ্চারণে এই ‘বাহাই’ পরবর্তীতে ‘ভাই’ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত জীবন
আজিজ মোহাম্মদ ভাই নওরীন আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে বিয়ে করেন।এই দম্পতির তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। এক ছেলে, আসর আজিজ এম ভাই, ২০২৩ সালের জুন মাসে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে একটি বোর্ড পদ গ্রহণ করেন।
আজিজের ভাই রাজা মোহাম্মদ ভাইয়ের ছেলে আহাদ মোহাম্মদ ভাইও শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন। আজিজের চাচাতো ভাই মুনির আলী মোবারক আলীর ছেলে এবং আজিজের বোনের ছেলে সামাদ মিরালীও ব্যবসা পরিচালনার কাজে যোগদান করেন।
ব্যবসা-বাণিজ্য
আজিজ মোহাম্মদ ভাই একজন বাংলাদেশী শিল্পপতি এবং সাবেক চলচ্চিত্র প্রযোজক। তিনি বাবা মোহাম্মদ ভাই এর বাংলাদেশের পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনা করেন। যার মধ্যে রয়েছে ফার্মাসিউটিক্যালস, লোহা ও ইস্পাত খাত এবং ভোগ্যপণ্য।
আজিজ মোহাম্মদ ভাই আম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস, বেঙ্গল স্টিল ওয়ার্কস লিমিটেড, অ্যাম্বি লিমিটেড, AKES বি, এবং দ্য মর্নিং সান-এর পরিচালক। তিনি প্রগতি প্রিন্টিং এবং প্যাকেজিং এর মালিক।তিনি বাংলাদেশের অন্যতম ধনী শিল্পপতি হয়ে ওঠেন।তিনি ১১টি শিল্পের মালিক হয়ে।
এছাড়াও অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির বর্তমান মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাই সার্ক চেম্বার অফ কমার্সের আজীবন সদস্য।২০১৮ সালে অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির মালিক মোহাম্মদ ভাই এর মৃত্যুর পর, আজিজ মোহাম্মদ ভাই অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন ।
আজিজ মোহাম্মদ ভাই একটা সময় মিডিয়ার সাথেও জড়িত ছিলেন। তিনি Ambee Pharmaceuticals Ltd এবং Ambee Films-এর চেয়ারম্যান। আম্বি ফিল্মস নামে তার একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান থেকে বেশ কয়েকটি বড় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
অভিযোগ
আজিজ মোহাম্মদ ভাই এর বিরুদ্ধে বেশ কিছু হত্যা, মাদক এবং ক্যাসিনো মামলার অভিযোগ রয়েছে। আজিজ মোহাম্মদ ভাই প্রথম গ্রেপ্তার হয়েছিল রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে। নিজারি ইসমাইলিজমের ৪৯তম ইমাম প্রিন্স করিম আগা খান বাংলাদেশে আসার পর মুক্তি পান ।
১৯৯৬ সালে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন শেয়ারবাজার থেকে জালিয়াতি করে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগে আজিজ মোহাম্মদ ভাই এবং অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা করে।আগস্ট ২০১৮ সালে ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ২০২২ সাল থেকে, চৌধুরী থাইল্যান্ডে বসবাস করছেন।মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং এবং সিঙ্গাপুরে তার রিসর্ট রয়েছে।
১৯৯৭ সালে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে আজিজ মোহাম্মদ ভাই এর বিরুদ্ধে। যদিও হত্যাকাণ্ডের সময় থাইল্যান্ডে ছিলেন আজিজ। কিন্তু সেটাকে আত্নহত্যা বলেই প্রচার করা হয়। যদিও সালমান শাহ এর পরিবার ও তার ভক্তদের ধারণা এটা হত্যাকাণ্ড। বর্তমানে আজিজ মোহাম্মদ ভাই সপরিবারে থাইল্যান্ডে থাকেন।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর অভিনেতা সোহেল চৌধুরীর আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বিরুদ্ধে।আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের মালিকানাধীন ক্লাব ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে খুন হাওয়ায় এ অভিযোগ করা হয়।১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই, পুলিশের গোয়েন্দা শাখা আজিজ মোহাম্মদ ভাই সহ আরো কয়েক জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনে।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে , হত্যার প্রায় ৫ মাস আগে ২৪ জুলাই ১৯৯৮ সালে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ক্লাবটি বন্ধ করার চেষ্টা করা নিয়ে ভাইয়ের সাথে সোহেল চৌধুরীর ঝগড়া হয়। ১৯৯৮ সালের অভিনেতা সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ২০২৪ সালের মে মাসে আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় । হাইকোর্ট ২০০৩ থেকে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিচারের কার্যক্রম স্থগিত করে।
২০০৭ সালে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের ভাগ্নে আমিনুল হুদাকে মাদকের অভিযোগে গ্রেফতার করে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন গুলশানের একটি বাড়ি থেকে ইয়াবা তৈরির কাঁচামালসহ ১৩০,০০০ ইয়াবা জব্দ করে। এ মামলায় আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
২০১৯ সালের অক্টোবরমাসে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ভাইয়ের বাড়ির ছাদে ক্যাসিনো এবং বারে মাদকবিরোধী অভিযানে মদের বোতল এবং চিপস সহ জুজুর টেবিল জব্দ করে। ভাইয়ের ভাতিজা আহাদ ছিলেন বারের মালিক।অভিযানের সময় বাড়িটি খালি ছিল।
অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির ইতিহাস
অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির বর্তমান মালিক আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাবা মোহাম্মদ ভাই ১৯৭৯ সালে বেঙ্গল কার্বাইড লিমিটেড নামে একটি ব্যাটারি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামকরণ করা হয়।
মোহাম্মদ ভাই ১৯৯৬ সালে বিস্কুট প্রস্তুতের ব্যবসা শুরু করেন।অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির মালিক মোহাম্মদ ভাই এরপর নিজের ছেলেমেয়েদের কোম্পানির মালিকানায় যুক্ত করতে থাকেন। এছাড়া মোহাম্মদ ভাই কোম্পানি পরিচালনার জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে তার ভাই মোবারক আলীকে নিয়োগ দেন।
আজিজের ভাই রাজা মোহাম্মদ ভাইয়ের ছেলে আহাদ মোহাম্মদ ভাইও শেয়ারহোল্ডার পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন। আজিজের চাচাতো ভাই মুনির আলী মোবারক আলীর ছেলে এবং আজিজের বোনের ছেলে সামাদ মিরালীও ব্যবসা পরিচালনার কাজে যোগদান করেন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় বিস্কুট উৎপাদক অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক পর্ষদে নিয়োগ পেয়েছেন ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের ছেলে ও ভাতিজা। এর মাধ্যমে তার দ্বিতীয় প্রজন্ম অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবসায় যুক্ত হয়।
অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানি বা অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিস্কুট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিপণনেও এগিয়ে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গুণগত মানই এ প্রতিষ্ঠানকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে।
২০১৮ সালে অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির মালিক / চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ভাই মৃত্যুর পর আজিজ মোহাম্মদ ভাই অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির মালিক / চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত হন। এরপর আজিজ মোহাম্মদ ভাই ছাড়া তার পরিবারের কোনো সদস্য কোম্পানির পরিচালক বোর্ডে ছিলেন না।মোহাম্মদ ভাই এর ভাতিজা মোবারক আলীর ছেলে মুনির আলী কোম্পানিতে যোগ দিয়েছেন।
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগের মাধ্যমে কোম্পানিটি ইনস্ট্যান্ট ন্যুডলস, ড্রাই কেক, সফট কেক, চকলেট ওয়েফার, ফিলড ক্যান্ডি, টফি, টোস্ট, রাস্কসহ নানান মুখোরোচক নাশতা তৈরির মতো সেগমেন্টে বিনিয়োগ করেছে, যা তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের কৌশলকেই তুলে ধরছে।
অলিম্পিক কোম্পানি কোন দেশের
মোহাম্মদ ভাই ১৯৭৯ সালে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন।অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানি সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বিস্কুট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ বিপণনেও এগিয়ে রয়েছে। গুণগত মানই এ প্রতিষ্ঠানকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে।
বেঙ্গল কারবাইড লিমিটেড নামে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এর নাম ধারণ করে। প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যাটারি প্রস্তুত করতো প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৮২ সালে ব্যাটারি উৎপাদন শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাহকের আস্থা ও সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয় তারা। এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে বাজারে আসার পরিকল্পনা করে। ফলে মোহাম্মদ ভাই বিস্কুট ও অন্য কনফেকশনারী আইটেমের বাজার নিয়ে গবেষণা শুরু করে।
বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বিস্কুট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয়ের ৯৫ শতাংশ আসে বিস্কুটসহ অন্য কনফেকশনারি পণ্য থেকে। ১৯৮৪ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত হয়। ১৯৮৭ সালে সয়াবিন তেল ও ঘি প্রস্তুত শুরু করে।১৯৯১ সালে পাম অয়েল উৎপাদন শুরু করে।
১৯৯৫ সালে আরও বৃহৎ পরিসরে ইউএম-থ্রি ব্যাটারি প্রস্তুতে মনোযোগী হয়। ১৯৯৬ সালে নাম পরিবর্তন করে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ নামে পথচলা শুরু তাদের। সেই একই বছর বিস্কুট ও অন্য কনফেকশনারি পণ্য প্রস্তুত শুরু করে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। ১৯৯৮ সালে বল পয়েন্ট কলম ও বাল্ব উৎপাদন করে তারা।
২০০৩ সালে বিস্কুট উৎপাদনের জন্য দ্বিতীয় ধাক চালু করে। ২০০৮ সালে বিস্কুট উৎপাদনের জন্য তৃতীয় ধাপ চালু করে। ২০০৮ ২০০৮ সালে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে একীভূত হয় তৃপ্তি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ২০১০ সালে চতুর্থ বিস্কুট ধাপ চালু করে।
২০১২ সালে পঞ্চমটি। ২০১৪ সালে ষষ্ঠ ও সপ্তম লাইন নিয়ে উৎপাদনে আসে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। ২০১৫ সালে চালু হয় অষ্টম লাইনটি। গত বছর লোলাতির কারখানায় নতুন বিস্কুট লাইন স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিল অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার লোলাতিতে নবম বিস্কুট লাইন উদ্বোধন করে। নতুন লাইনের মধ্য দিয়ে তাদের বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ৭ হাজার ২০০ টন বেড়ে যায়। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে তিনটি কনফেকশনারি লাইন ও একটি বেকারি লাইন রয়েছে।
অলিম্পিক কোম্পানির বিস্কুট
অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের খাদ্যপণ্য স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রস্তুত করা হয়। কর্মীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। কর্মী নিয়োগে নারীদের প্রাধান্য দেয়।
অলিম্পিক কোম্পানির বিস্কুট —
- এনার্জি প্লাস
- নাটি
- টিপ
- মিল্ক প্লাস
- কোকোনাট প্লাস
- চকোলেট প্লাস
- এলাচি প্লাস
- সল্টেজ
- কোকোনাট
- ফার্স্ট চয়েস
- জিরা
- ক্রাক জ্যাক
- ডাইজেসটিভ
- বাটার বাইট
- লাইট বাইট সুগার ফ্রি
- চকো ফেস্ট
- টুইংকেল টুইংকেল
- টিম টিম
- এনার্জি প্লাস মালাই ক্রিম
- ম্যাজিক মিল্ক
- নিউ গ্লুকোজ
- একো এলাচি
- একো মিল্ক
- জি-অরেঞ্জ
- জি-এলাচি
- লেক্সাস
- হাইলাক্স
- ফেস্টি কফি
- নিউট্রি মেরি
- মেরি গোল্ড
- মিল্ক মেরি
- চকো মেরি
- নামকিস
কুকিজ অ্যান্ড বেকারি—
- ড্রাই কেক
- বাদামি কুকিজ
- ডেইলি টোস্ট
কনফেকশনারি—
- জুসি লিচি
- গ্রিন ম্যাঙ্গো
- পাইন অ্যাপেল
- রাইপ ম্যাঙ্গো
- জুসি অরেঞ্জ
- তেঁতুল ক্যান্ডি
- ঝাল তেঁতুল
- টেস্টি মিল্ক
- ক্রিমি ক্যারামেল
- কুল
- এনার্জি
- একলেয়ার
- ও চকিটো
অলিম্পিক ব্যাটারি—
- ব্যাটারি অলিম্পিক গোল্ড (ইউএম ১ ও ৩)
- অলিম্পিক সুপার পাওয়ার (ইউএম ১)
- অলিম্পিক লেজার (ইউএম ৩)
- অলিম্পিক (ইউএম ৩ ও ৪)
- অলিম্পিক রিমোট (ইউএম ৪)
- ও অলিম্পিক হেভি ডিউটি (ইউএম ৪)
সুতরাং আজকে আর্টিকেল থেকে অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির মালিক কে ছিল, অলিম্পিক বিস্কুট কোম্পানির বর্তমানে মালিক কে , অলিম্পিক কোম্পানি কোন দেশের, অলিম্পিক কোম্পানির বিস্কুট, আজিজ মোহাম্মদ ভাই এর পরিচয় প্রভৃতি বিষয় জানতে পেরেছেন।
0 Comments