পপুলার হাসপাতাল বাংলাদেশ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় ও একটি বেসরকারি চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পপুলার হাসপাতাল ধানমন্ডি জনপ্রিয় ও আস্থাভাজন একটি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি বহুদিন ধরে চিকিৎসা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
তবে ২০২৪ সালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী জনতার চিকিৎসা ক্ষেত্রে পপুলার হাসপাতাল এর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়া যায়। আজকে আর্টিকেলে পপুলার হাসপাতাল ও পপুলার মেডিকেল কলেজ এবং এদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে আলোচনা করব।
পপুলার হাসপাতাল
বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি বেসরকারি সেবা প্রতিষ্ঠান পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এটি চিকিৎসা সেবায় রোগ নির্ণয়ের জন্য ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে।জনপ্রিয় পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।২০১০ সালে ঢাকার ধানমন্ডিতে প্রতিষ্ঠিত পপুলার মেডিকেল কলেজ (পিএমসি) পপুলার হসপিটাল এর মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের বিশেষ করে স্বল্প আয়ের ও দরিদ্র রোগীদের উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা।
Popular Hospital
Popular Diagnostic Center is a popular private service organization in Bangladesh. It started its journey in 1983 for diagnosis in medical care. Popular Pharmaceuticals Ltd. was established in 2005. Popular Medical College (PMC) Popular Hospital established in 2010 at Dhanmondi, Dhaka, aims to provide quality medical care to the general population of Bangladesh, especially low-income and poor patients. to provide.
মেডিকেল কলেজ
২০১০ সালে ঢাকার ধানমন্ডিতে প্রতিষ্ঠিত পপুলার মেডিকেল কলেজ (পিএমসি) বাংলাদেশের একটি অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ। এ মেডিকেল কলেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত। এটি ধানমন্ডিতে অবস্থিত। পপুলার মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ড. মুস্তাফিজুর রহমান এবং অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাক্তার খান আবুল কালাম আজাদ।পপুলার মেডিকেল কলেজ পাঁচ বছর মেয়াদী কোর্স শেষে এমবিবিএস ডিগ্রী প্রদান করেন। স্নাতক পরবর্তী এক বছর ইন্টার্নশিপ সকল স্নাতকদের জন্য বাধ্যতামূলক।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের ভুতুড়ে বিলের অভিযোগ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ২০২৪ আহতদের ভুতুড়ে বিলের অভিযোগ পপুলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। পপুলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভুতুড়ে বিল দেয়ার অভিযোগ তোলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত কিছু ছাত্র জনতা। সামান্য পায়ে গুলি খাওয়া ছাত্রের কাছ থেকে ২ লক্ষের বেশি বিল নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এছাড়া আইসিইউ তে লাইফ সাপোর্টে থাকা রোগীদের ভুতুড়ে রকমের বিলের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও আইসিইউতে রোগীদের সাথে দেখা করতে যেতে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে।
এর আগেও সংবাদপত্রের পাতায় পপুলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন টেস্ট এ অতিরিক্ত বিল নেওয়া এবং প্রয়োজনের বাইরে একাধিক টেস্ট করানোর অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও রোগের স্বজনদের হাসপাতালে খাবার নিয়ে আশায় বাধা সৃষ্টি করে কর্তৃপক্ষ। বাধ্যতামূলক পপুলার হাসপাতাল ক্যান্টিন থেকে খাওয়ার নির্দেশ দেয়।
২০১৯ সালে ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতাল সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা ফি বেশি নেওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
পপুলার হাসপাতালের আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা খরচ মওকুফের ঘোষণা
পপুলার হাসপাতালের পরিচালক এ এম এস এম শরিফুজ্জামান রুবেল রাজধানীর পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের ওষুধ খরচ ব্যতীত সকল চিকিৎসার খরচ মওকুফের ঘোষণা দিয়েছেন।
পপুলার হাসপাতালের নিজস্ব প্যাডে লেখা ঘোষণা পত্রটিতে লেখা হয়েছে - আজ ১২ ই আগস্ট থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আহত রোগীদের সকল প্রকার (মেডিসিন খরচ ব্যতীত) চিকিৎসা খরচ মওকুফ করে দেয়া হলো। এই ঘোষণা পপুলার হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি রোগীদের ক্ষেত্রে ভর্তির দিন থেকেই কার্যকর হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত কিছু শিক্ষার্থী জনতা পপুলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভুতুড়ে বিল দেওয়ার অভিযোগ তোলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের সাথে পপুলার হাসপাতালের ম্যানেজমেন্ট এবং সেনাবাহিনীর বৈঠক হয়। এই বৈঠকের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় যে, আন্দোলনে আহত সকল শিক্ষার্থী জনতার ওষুধ খরচ ব্যতীত সকল বিল মওকুফের ঘোষণা করা হয়।
পপুলার হাসপাতালের মালিক কে?
পপুলার হাসপাতালের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি সাধারণ জনগণকে মানসম্পন্ন চিকিৎসা সেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে ১৯৮৩ সালে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং পরবর্তীতে ২০১০ সালে পপুলার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। এটি একটি বেসরকারি জনপ্রিয় চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান।
0 Comments